Hot Posts

6/recent/ticker-posts

কিভাবে ইংরেজি শিখবো। দ্রুত ইংলিশ শেখার ১০টি সহজ টিপস | Learn English Online

কিভাবে ইংরেজি শিখবো
 

ইংরেজি শেখা যথেষ্ট সহজ এবং মজার কারণ ইংরেজি শেখার জন্য অনলাইনে রিসোর্স পাবেন প্রচুর। শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি থাকলে ৫-৬ মাসের মধ্যে খুব ভালো ইংরেজি বলতে এবং লিখতে পারেন আপনি। 

তাছাড়া ঘুড়ি লার্নিং এর মতো প্রফেশনাল ইলার্নিং প্লাটফর্মে কার্যকর অনেক ইংলিশ লার্নিং কোর্স পাবেন যা আপনাকে পুরো শেখার প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সাবলীল করে দিবে। সুতরাং এখন স্পিকিং, রাইটিং, লিসেনিং, রিডিং, গ্রামার, ভোকাবুলারি আয়ত্ত্ব করা, কর্পোরেট অফিস কমিউনিকেশন যেটাই শিখতে চান, ঘরে বসেই খুব দ্রুত শেখা খুব পসিবল। 

আর কীভাবে তা সম্ভব তা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যাবেন। ইন্টারন্যাশনাল ভাষা হিসাবে ইংলিশ শিখলে আপনি এই ডিজিটাল যুগে অন্য অনেকের থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে থাকবেন। তাই দেরি না করে চলুন দ্রুত ইংলিশ শেখার ১০টি সহজ টিপস জেনে নিই। 

হাতের কাছে ইংরেজি যা পাবেন পড়ে ফেলুন 

ইংলিশে যা পাবেন সেটা সাহিত্য, নিউজপেপার, ব্লগ কিংবা স্যোশাল মিডিয়া আর্টিকেল যাই হোক না কেন তা পড়ে ফেলুন। এখানে বেশ নতুন কিছু ভোকাবুলারি পাবেন তা আপনাকে পরবর্তীতে সাহায্য করবে। সেই সাথে পূর্বে জানা অনেক ভোকাবুলারি আপনার প্রাকটিস হয়ে যাবে। আপনি ওয়ার্ড ইউজ শিখে যাবেন এবং একই সাথে আপনার মনে সেই ওয়ার্ডগুলোর কনটেক্সটও আয়ত্ত্বে চলে আসবে। 

আপনি যতো বেশি পড়বেন ততোই আপনার রিডিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে; স্পিকিং এর সময় আপনার জড়তা কেটে যাবে। আপনি পড়া শব্দগুলো শুনতেও অভ্যস্থ হবেন। সুতরাং এভাবে দিনের প্রতিটি কাজে আপনার সামনে যে লেখা চলে আসবে তা পড়তে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ইংলিশ ভীতি কেটে যাবে। 

নতুন ভোকাবুলারি নোট করুন 

আপনি প্রতিদিন নতুন কয়েকটি ওয়ার্ড মুখস্থ করার চেষ্টা করুন। এটলিস্ট একটি শব্দ হলেও শিখে নিন। অবশ্য সেই শব্দগুলো ভুলে যাওয়াও অসম্ভব নয়। আর সেজন্য যে নতুন ওয়ার্ড শিখছেন তা নোট করে রাখুন। তাহলে পরবর্তীতে তা আবার রিভাইস করতে পারবেন। অবশ্য ওয়ার্ড নোট করার সাথে সাথে তার একটি-দুটি এক্সামপল বা উদাহরণ লিখে রাখতে পারেন। বিশ্বাস করুন, এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। প্রথম দিকে একটু বোরিং হবে ব্যাপারটা, তবে ধীরে ধীরে আপনার নোট সাথে রাখাটা মজার অভ্যাস হয়ে যাবে। 

আবার যখন আপনি ফ্রি টাইম পাবেন বা জার্নিতে থাকবেন আপনি নোট থেকে পূর্বে শেখা ওয়ার্ডগুলো প্রাকটিস করতে পারবেন। এভাবে অভ্যাস করলে আপনি ৬ মাস পরে অনেক নতুন শব্দ শিখে ফেলবেন যা আপনার ইংলিশ শেখার জার্নিকে সুন্দর করবে। সব মিলিয়ে এই ভোকাবুলারি নোট করার পদ্ধতি আপনার অনেক সময় সেভ করে নতুন শব্দ শিখতে সাহায্য করবে।

আরও দেখুন: 10 tips to improve your English vocabulary  

সরাসরি কারও সাথে ইংরেজিতে কথা বলুন 

কথা বলতে পারা ছাড়া অর্থাৎ স্পিকিং ছাড়া একটি ভাষার আর কি গুরুত্ব আছে! যদিও ইন্টারনেটের যুগে স্যোশাল মিডিয়া, ইমেইল, ইনস্টান্ট মেসেজিং অনেক মাধ্যমেই কথা বলা যায়। তবে সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ মেটাই। আর যেকোন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে সরাসরি কোন ব্যক্তির সাথে ইন্টারেক্ট করে কথা বলতে পারলেই বেশি শেখা যায়। আপনার ভেতরের জড়তা কেটে যায়। 

এজন্য আপনার একজন স্পিকিং পার্টনার বের করুন, যার সাথে আপনি যেকোন বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। আর অবশ্যই তার সাথে ইংলিশে সকল বিষয় শেয়ার করুন। নতুন নতুন টপিকস্ ঠিক করে কথা বলুন। সেই টপিকসের ভালো খারাপ সব আলোচনা করুন। ইন্টারনেটের যুগে অবশ্য ভয়েস কলের (WhatsApp) মাধ্যমেও কথা বলতে পারেন। নির্দিষ্ট টাইম সেট করে প্রতিদিন একই সময় আধা ঘন্টা বা তার বেশি সময় ডিসকাস করুন। দেখবেন আপনার ইংলিশ শেখা অনেক সহজ হয়ে গেছে। 

ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব শুনুন 

প্রতিটি মানুষের কিছু পছন্দের বিষয় থাকে যা সে কন্টিনিয়াসলি জানতে ভালোবাসে। যেমন, ট্রাভেলিং, টেকনোলজি, গার্ডেনিং এমনকি রান্না-বান্না। এভাবে পছন্দের বিষয় খুঁজে নিয়ে নিয়মিত পডকাস্ট শুনুন। আবার এখন ইউটিউবের মাধ্যমেও দারুণ সব জিনিস শেখা যায়, সেখান থেকে আপনি ইংলিশও আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার পছন্দের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং নিয়মিত শুনতে থাকুন দেখতে থাকুন। 

ইংরেজি পডকাস্ট বা ইউটিউব ভিডিও আপনাকে ইংরেজি লিসেনিং স্কিল বৃদ্ধি করবে এবং নতুন নতুন শব্দও আপনি আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি কীভাবে একটি বিষয় এক্সপ্লেইন করতে হয়, সেন্টেন্স মেকিং করতে হয় এবং নতুন কারও সাথে সে বিষয়ে কীভাবে স্পিকিং করতে হয় তা জানতে পারবেন। 

আপনার পছন্দের বিষয়ে নিজে নিজে কথা বলুন 

আপনি প্রতিদিন আপনার পছন্দের বিষয়ে পডকাস্ট শুনছেন, আবার ইউটিউব ভিডিও দেখছেন। এখন আপনি সেসব বিষয়ে নিজে নিজে কথা বলুন। আপনার পছন্দের বিষয়টি অন্যের সাথে কীভাবে ডিসকাস করবেন, কীভাবে বর্ণনা করবেন তা নিজের মনে মনে গল্প তৈরি করে ফেলুন। তাহলে আপনার নিজের এক্সপ্লেইন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার কথা বলার জড়তা দূর হবে। তাছাড়া সেসব বলার সময় যেসব নতুন ওয়ার্ড প্রয়োজন হয় তা আপনি বের করে ফেলতে পারবেন। 

এভাবে যদি আপনি প্রতিনিয়ত নিজের সাথে নিজে কথা বলেন তাহলে আপনার ইংলিশে চিন্তা করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার ইংলিশ দূর্বলতা অনেকাংশে কমে যাবে। আপনার নতুন সব বিষয়ে কথা বলা বা ব্যাখ্যা করার আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। 

আরও দেখুন: 

গ্রামার আয়ত্ত্ব করুন 

পূর্বের পয়েন্টগুলো আপনি রিপিট করতে থাকুন। ২-৩ মাস এভাবে চেষ্টা করুন। এবার সেই সাথে আপনাকে গ্রামারে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে টেন্স (Tense) ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করুন এবং টেন্সের সাথে রিলেটেড গ্রামার যেমন ভার্ব, পার্সন ইত্যাদি শিখে নিন। সেজন্য আপনি ভালো গ্রামার বই পাবেন, অনলাইনে বেশ সমৃদ্ধ কোর্সও পাবেন যেমন ঘুড়ি লার্নিং এর গ্রামার কোর্স। 

গ্রামার আপনাকে সেন্টেন্স মেকিং এ সাহায্য করবে। সুতরাং আপনার প্রফেশনাল ইমেইল পাঠানো, বিজনেস ডিল ইত্যাদিতে সাহায্য করবে। তাছাড়া আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ভালো কান্ট্রিতে যেতে চাইলে গ্রামার জানা থাকলে আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন তৈরি, থিসিস পেপার তৈরি কিংবা যোগাযোগ বা জব সব ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। 

আরও দেখুন: 10 Basic English Grammar rule for beginners

ইংরেজিতে প্রশ্ন করা উত্তর দেওয়া শিখুন 

যেকোন নতুন পরিবেশে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়া। আপনি সঠিকভাবে প্রশ্ন করতে না পারলে আপনার নতুন পরিবেশে অনেক কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। সেজন্য আপনার আশপাশে প্রতিদিন যেসব ব্যাপার ঘটছে তা থেকে প্রশ্ন তৈরি করুন এবং নিজে নিজেই তার উত্তর দিন। এভাবে আপনার বেসিক প্রশ্ন করা এবং উত্তর দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার যেকোন কনর্ভাসেশনে এই দক্ষতা বেশ হেল্প করবে। 

সেন্টেন্স স্ট্রাকচারে নজর দিন 

যেকোন ভাষায় দক্ষ হতে সেন্টেন্স স্ট্রাকচার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সেন্টেন্স স্ট্রাকচার যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার এক্সপ্রেস করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে যখন আপনি সে ভাষায় লিখবেন তখন সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ঠিক রেখে লেখাটা খুব প্রয়োজন। তাহলে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আপনার স্পিকিং ও সুন্দর হবে।  

গোল সেট করুন

যেকোন কিছু শেখার জন্য স্পেসেফিক গোল সেট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি কি শিখতে চান, কতো দিনের মধ্যে কতোটুকু আয়ত্ত করতে চান সেভাবে এগিয়ে যান। আর সে অনুসারে প্রতিদিন কতোটুকু সময় দিবেন তা ঠিক করে নিন। তাহলে আপনার শেখা গোছালো হবে। অন্যথায় আপনি শিখতে থাকবেন তবু নির্দিষ্ট লেভেলে যাওয়া কঠিন মনে হবে। আর ছোট ছোট গোল সেট করে এগোলে আপনার ডিমটিভেট হওয়ার সুযোগ থাকবে না। 

১০লোকে কি বলে ভুলে যান 

প্রথম যখন ইংলিশ শেখা শুরু করবেন তখন আপনার অনেক ভুল হবে। কিন্তু এটা সাময়িক। ধীরে ধীরে আপনি ভালো করতে থাকবেন। সুতরাং পজিটিভ থাকুন এবং মটিভেট থাকুন। বিশেষ করে উপরের নিয়ম অনুসারে চর্চা করলে আপনি ৫-৬ মাসেই একটি ভালো লেভেলে আসতে পারবেন। মাঝে মাঝে মনে হবে, এটি একটি স্লো প্রসেস বাট আপনি নিয়মিত প্রাকটিস করলে অবশ্যই এগিয়ে যেতে পারবেন। সুতরাং অন্যে কি ভাবলো বা কি বললো তা নিয়ে মাথা ঘামাতে যাবেন না। আর তাহলেই আপনি দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন। মনে রাখবেন, অন্যেরা কি ভাববে তাও যদি আপনি ভাবেন তাহলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। আর ভুল-শুদ্ধ যাই হোক এগিয়ে যেতে থাকলে আপনার ইংলিশ কমিউনিকিশন উন্নত হবে। 

ইংলিশ কেন শিখবেন

ইংলিশ কেন শিখবেন তা আপনি অলরেডি জানেন। তবুও ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং আপনার মটিভেশন ধরে রাখতে ১০ টি ছোট পয়েন্ট চলুন জানি।

  • বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ। 
  • গ্লোবালী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। 
  • দেশে জব পেতে সহায়তা করবে। 
  • ইন্টারনেটে ক্যারিয়ার গড়তে বা ফ্রিল্যান্সিং করতে ইংরেজির বিকল্প নেই। 
  • ব্যবসা করতে ইংলিশ জানা প্রয়োজন। 
  • বিভিন্ন কালচার সম্পর্কে জানতে পারবেন। 
  • বিনোদনের একটি অন্যতম মাধ্যম ইংলিশ কমিউনিকেশন। 
  • বিশ্ব সম্পর্কে জানতে ইংলিশ জানা খুবই প্রয়োজন। 
  • নিজেকে বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করতে ইংরেজি জানার গুরুত্ব অপরিসীম। 
  • ভ্রমণ সহজ হয়ে যাবে। 


 

শেষ কথা 

সবশেষে বলবো, বাংলাদেশে বসে ইংলিশ শিখলে আপনি কখনও পস্তাবেন না। সে আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যান আর দেশে কোন জব করেন। আপনার সার্বিক ক্যারিয়ার উন্নয়নে ইংলিশ দক্ষতা আপনাকে বেশ সাপোর্ট দিবে। আর সেই সাথে যদি আপনি ঘরে বসে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনি আরও বেশি ভালো করবেন। 

আর উপরের টিপসগুলো মনে রাখলে আপনার ইংলিশ শেখার জার্নি বেশ সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। এমন আরও টিপস পেতে ঘুড়ি রার্নিং ব্লগ ভিজিট করুন এবং ঘুড়ি লার্নিং কোর্স থেকে আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত নিজেকে আপগ্রেড করতে পারবেন। 

Post a Comment

0 Comments